ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একদিকে চলছে সংস্কার, অন্যদিকে বাড়ছে খানাখন্দ

প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ১৩

চালকদের সতর্ক করতে মহাসড়কের ভাঙা অংশে কলাগাছের খন্ড ও লতাপাতা রাখা হয়েছে। রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার চাড়ালকান্দি এলাকায়
চালকদের সতর্ক করতে মহাসড়কের ভাঙা অংশে কলাগাছের খন্ড ও লতাপাতা রাখা হয়েছে। রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার চাড়ালকান্দি এলাকায়ছবি: কৃষ্ণ চন্দ্র দাস


টানা বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অংশে ঢাকামুখী লেনে আবারও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়ক সচল রাখতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা একদিকে সংস্কার করছেন আর অন্যদিকে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ১৫ দিন আগেও একবার সড়ক সংস্কার করা হয়েছিল। আজ সোমবারও সংস্কারকাজ চলতে দেখা যায়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, তিন কারণে মহাসড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। টানা বৃষ্টি, ওভারলোড গাড়ি চলাচল ও অতিরিক্ত গাড়ির প্রবাহ। চট্টগ্রামমুখী লেনের চেয়েও ঢাকামুখী লেনে ওভারলোড গাড়ি বেশি চলে বিধায় সড়কের ওই অংশে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি।

সরেজমিন দেখা যায়, চট্টগ্রাম নগরের সিটি গেট থেকে সীতাকুণ্ড পৌর সদর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে ছোট–বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের চাড়ালকান্দি এলাকায় এমন একটি গর্তের মধ্যে গাড়ির চাকা পড়ে ফেটে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় স্থানীয় লোকজন গর্তটিকে কলাগাছের খণ্ড ও গাছের লতাপাতা দিয়ে চিহ্নিত করে দেন। বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকায়ও বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপপ্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান প্রথম আলোকে বলেন, চলতি মাসের শুরুতেই ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছিল। ৩ আগস্ট মহাসড়কের সবগুলো খানাখন্দ সংস্কার করে দেন তাঁরা। চলতি সপ্তাহে আবারও টানা বৃষ্টি হচ্ছে সীতাকুণ্ডে।

এমন বৃষ্টি গত দু-তিন বছরেও হয়নি। এ ছাড়া অবাধে ওভারলোড গাড়ি চলাচল করার কারণে ঢাকামুখী লেনে খানাখন্দ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। আজ বৃষ্টির মধ্যেও তাঁরা যতটুকু সম্ভব সড়কের সংস্কার করেছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম অংশের ৬৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা সড়ক টিকিয়ে রাখার জন্য বৃষ্টির মধ্যেও কাজ করছেন। কিন্তু তাঁরা জানেন, এই সংস্কার টিকবে না। বৃষ্টি থেমে গেলে সংস্কার করা অংশের চারদিকে কেটে আবার সংস্কার করবেন তাঁরা। ১৫ দিন আগেও তাঁরা এভাবে সংস্কার করেছিলেন। তখন যে অংশের কাজ হয়েছিল, সে অংশে এখন আর নতুন করে গর্তের সৃষ্টি হয়নি।
Previous Post Next Post
banner banner banner banner